নারায়ণগঞ্জ
সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী
বলেছেন, আজকে অনেক শিক্ষিত আছেন যারা আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেন কিন্তু বঙ্গবন্ধুর
নাম বলতে নারাজ। বঙ্গবন্ধু একা আওয়ামী লীগের কোনো অর্জন নয়। তখন ছিল সাড়ে ৭ কোটি
বাঙালির আর এখন ১৮ কোটি মানুষের সম্পদ। তিনি আমাদের জাতীয় নেতা। আমাদের মত ভিন্ন
থাকতে পারে দল ভিন্ন থাকতে পারে কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে মানতেই হবে। এর কোনো বিকল্প
নেই।
শুক্রবার
(১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর শেখ রাসেল পার্কে এক আবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি
আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশ স্বাধীন করেছেন আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি আমি
বাঙালি। বঙ্গবন্ধু আমাদের ভূখন্ড দিয়েছেন আর তাঁর কন্যা রাতদিন পরিশ্রম করে আমাদের
অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন। যে বঙ্গবন্ধুকে মানবে না তার মধ্যে অগণিত দোষ আছে।
তাঁকে যদি আমরা অস্বীকার করি তাহলে আমরা নিজেদেরকেই অস্বীকার করবো এবং আল্লাহর
কাছে জবাবদিহী করতে হবে।
আইভী
বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমান্ত আত্মজীবনীতে অনেক কিছু শেখার আছে। তিনি রাজনীতি করতেন
দেশের মানুষকে ভালবাসে জনগণের মুক্তির জন্য। আর এখন আমরা রাজনীতি কিছু পাওয়ার
আশায়। কি পেলাম আর কি পেলাম না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনকেই ত্যাগ করেছেন বহু
বছর জেল খেটেছেন।
তিনি
বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন আল্লাহ তাঁকে সকল
গুণে গুনান্বিত করেছিলেন। যার আহবানে দলমত নির্বিশেষে সাড়ে ৭ কোটি বাঙালি একত্রিত
হয়েছিল। সকলে মিলে আমরা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু কিছু
কুলাঙ্গার ১৯৭৫ সালে স্বপরিবারে হত্যা করেছে জতির পিতাকে।
মেয়র
বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী এখন চলছে। এখন একটা
বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করলেও সে জাতির পিতা সম্পর্কে জানে। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন
তাঁর নাম নেওয়াই ছিল নিষিদ্ধ। ’৭৫
থেকে ’৯৬ পর্যন্ত তাঁর নাম নেওয়াই ছিল একটা ভয়ের
ব্যাপার। এমন আইন তৈরি করা হয়েছিল যে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার তো হয়নি উল্টো
তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
এসময়
উপস্থিত ছিলেন সাংস্কতিক জোটের সভাপতি ভবানী সংকর রায় ও সাবেক সভাপতি জিয়াউল ইসলাম
কাজলসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন