নারায়ণগঞ্জে তিন কাউন্সিলর গ্রেপ্তারের ভয়ে পলাতক

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার তিনটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পলাতক থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন ওয়ার্ডবাসী। একাধিক মামলার আসামি এসব কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গ্রেপ্তার এড়াতে পুলিশের ভয়ে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাসিকের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন এলাকায় নেই প্রায় ১ মাস ধরে। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। পুলিশ বাদী হয়ে করা নাশকতা মামলায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর থেকে তিনি পলাতক। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় করা বর্তমানে ৪০টি মামলা রয়েছে। দুই মাস ধরে এলাকায় নেই ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ সাদরিল। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে নাশকতাসহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ২০টি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে ১৮টি মামলা চলমান। গত ২৯ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলার পর থেকে কাউন্সিলর সাদরিল পলাতক রয়েছেন। সম্প্রতি গা ঢাকা দিয়েছেন ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহবায়ক। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আদালত। পরোয়ানাটি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আসার পর তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালানোর পর থেকেই তিনি গা ঢাকা দেন। কাউন্সিলর পলাতক থাকায় ওই তিনটি কার্ডের বাসিন্দারা বিপাকে পড়েছেন। বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে প্রয়োজনীয় কাজে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল সালাম জানান, কাউন্সিলর না থাকায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। একটি চারিত্রিক সনদ নিতে ঘুরছি ১ সপ্তাহ ধরে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কবির হোসেন বলেন, গত দুই মাসে অন্তত ২০ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর না থাকায় এলাকায় মশক নিধন কার্যক্রম নেই। ফলে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছে। এ ছাড়া নানা সমস্যায় ভুগছেন ওয়ার্ডবাসী।। এ বিষয়ে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মাথসুদা মোজাফফর বলেন, শুনেছি কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন এলাকায় নেই। তার অবর্তমানে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আমি আমার সাধ্যমতো ওয়ার্ডবাসীর সেবা করে যাচ্ছি। একই ধরনের কথা বলেন, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন