দৈনিক নারায়ণগগঞ্জ: আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। জেলা আওয়ামী লীগের জেষ্ঠ সহ সভাপতিও তিনি।
অথচ, তার বিরুদ্ধেই তৃণমূলের একাধিক নেতা বলছে, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মী ও বিএনপি পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে গেছেন। যাদের কারো কারো বিরুদ্ধে রয়েছে নাশকতাসহ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের মামলা।’
যখন আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করছে বিএনপি ও দলটির নেতাকর্মীরা। প্রায় প্রতিদিন বিক্ষোভ, সভা সমাবেশ করছে সরকারের বিরুদ্ধে। তখন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়রের বিরুদ্ধে এমন ভয়াবহ অভিযোগ উঠলো।
সোমবার সকাল থেকে ভোট চলছিল জেলা পরিষদ নির্বাচনে। দুপুরে ভোট প্রদান করতে নগরী প্রিপ্রারেটরি স্কুল কেন্দ্রে এসেছিলেন মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।
সে সময় সেখানে উপস্থিত একাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী জানান, ‘মেয়র ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করার সময় তাঁর পাশে ছিল এনসিসি ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ইকবাল, বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের পুত্র গোলাম মোহাম্মদ সাদরিল, বিএনপি নেতা হাসান আহমেদ এর স্ত্রী আফরোজা হাসান বিভা। ইকবাল ও গোলাম মোহাম্মদ সাদরিলের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ইকবালের বিরুদ্ধে রয়েছে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা। আফরোজা হাসান বিভার স্বামী হাসান আহমেদের বিরুদ্ধে রয়েছে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের মামলা।’
নেতাকর্মীরা জানান, ‘ইকবাল ও সাদরিল বিগত সময় নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। আর আফরোজা হাসান বিভার স্বামী হাসান আহমেদ গ্রেপ্তার হয়েছে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকান্ডের অভিযোগে।’
গত কয়েক মাস যাবত নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে বিএনপি সমাবেশ ও নানা কর্মসূচি পালন করছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছে, ‘সেখানে বিএনপির নেতারা প্রকাশ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের ঘোষণা দিচ্ছে। অথচ, সেই বিএনপির নেতাকর্মীরা যখন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলে, ছবি তোলে আর গার্ড হিসেবে থাকে। তখন আমাদের কষ্ট লাগে।’
আওয়ামী লীগের একজন জনপ্রতিনিধি জানান, ‘শুধু আজকে নয়, সব সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা মেয়রের পাশে থাকে। এতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাঁর কাছে যাওয়ার সুযোগ পায় না, বঞ্চিত হয় সব সময়।’
এমন পরিস্থিতি দেখে পুলিশ কর্মকর্তারাও বিভ্রান্তকর পরিস্থিতিতে পড়েছে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের একাধিক কর্মী।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন