বাজার মনিটরিংয়ে দ্রুতই মাঠে নামবে টাস্কফোর্স

বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স দ্রুতই মাঠে নামবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ রবিবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা জানান তিনি।


আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘অনেকগুলো পণ্য ডিউটি ফ্রি করার পরও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুতই মাঠে নামবে টাস্কফোর্স।’

এদিকে, বাজার মনিটরিংয়ে নিয়মিতই অভিযান চালাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ও গুলশান কাঁচাবাজারে অভিযান পরিচালিত হয়।

 

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরে মেগাসিটি ঢাকার বাতাসও দূষণের কবলে। আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, ৯৫ স্কোর নিয়ে দশম অবস্থানে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা, যা দূষণের দিক থেকে মাঝারি হিসেবে বিবেচিত।

একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৮৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়। এ ছাড়া ১৬০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীনের রাজধানী বেইজিং, ১৫৬ স্কোর নিয়ে পরের অবস্থানে রয়েছে দেশটির আরেক শহর উহান, আর ১৩৪ স্কোর নিয়ে যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো শহর এবং ভারতের দিল্লি শহর।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাজার নিয়ন্ত্রণ না করলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। আজ শনিবার সকালে শাহবাগে আয়োজিত সমাবেশে জুলাই গণহত্যায় জড়িতদের দেশে এনে বিচার নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।

সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠকরা বলেন, সরকার বদল হলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না নিত্যপণ্যের দাম। আগের সরকারের মেয়াদে ঊর্ধ্বমুখী দামে নাজেহাল হওয়া সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল নতুন বাংলাদেশে ভোগ্যপণ্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এ সরকারের বিরুদ্ধেও আন্দোলন করা হবে।

সমাবেশে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসন এবং আহতদের সুচিকিৎসার দাবিও জানান বক্তারা। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও জানান তারা।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন