জালকুড়ি উত্তরপাড়া এলাকার ভুমিদস্যু জামানের এর বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন একই এলাকার ভুক্তভোগী আক্তার হোসেন। এই জামান হলো ভুমিদস্যু নুর হোসেনের বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের অন্যতম সহযোগী। অভিযোগে তিনি তার পৈতৃক সম্পত্তি ভুমিদস্যু জামানের হাত থেকে রক্ষা ও উদ্ধারের জন্য আবেদন করেছেন। গত ১৮ মার্চ শনিবার ভুক্তভোগী আক্তার হোসেন অভিযোগটি জেলা পুলিশ সুপার বরাবর এবং ১৯ মার্চ জেলা প্রশাসক বরাবর জমা দেন। এদিকে অভিযোগ হয়েছে জেনেও বেপরোয়া জামান। কোন ধরনের তোয়াক্কা করছেনা অভিযোগ। কারন, এগুলো পড়ে থাকবে। কিছুই হবেনা বলে জামান এলাকায় বলে বেড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি জামানের ভুমিদস্যূতা থেকে তার পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষার জন্য প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জামানের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগে ভুক্তভোগী আক্তার হোসেন উল্লেখ করেন, তার পিতার নাম মৃত ইন্নত আলী। তিনি জালকুড়ি উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার পৈতৃক ওয়ারিশ সুত্রে মৌজা ‘জালকুড়ি’ সাবেক ঢাকা হালে নারায়নগঞ্জ, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ সি এস জে এল নং ২০২. এস, এ ১৬, আর এস ০৬নং জালকুড়ি মৌজাস্থিত, সি এস খতিয়ান ২৩৬, ২৬, এস এ ৫৮, ৫২৯, ৫৩০ আর এস ৩৮৯, ৩৯০, ৩৯২ দাগ নং সি এস ও এস এ ৩৬৪, ৩৭০, ৩৬৬/২৭৭৩, আর এস ২১৬৭, ২১৫১, ২১৪৪, নাল জমির পরিমান ২৩.০৪ শতাংশ, ১৭.৪৬ শতাংশ, ৭.৫০ শতাংশ মোট ৪৮ শতাংশ ভুমি ভোগদখল করে আসছেন। আক্তার হোসেনের নামে নামজারি, জমাভাগ লিপিবদ্ধ রয়েছে। বর্তমানে এই জায়গায় মৌসুমী ফসলাদী চাষাবাদ করেছেন তিনি। আক্তার হোসেনের এই জায়গায় নজর পড়ে ভুমিদস্যু জামানগংদের। জামানগং ভুয়া কাগজপত্র ও দলিল তৈরী করে তাদের জায়গা দাবী করে সেখানে আক্তার হোসেনের জায়গায় দেয়াল নির্মানের চেষ্টা করে। জামানের পিতার নাম মৃত ছামেদ আলী। অভিযোগে আক্তার হোসেন আরো উল্লেখ করেন, এই সম্পত্তির উপর ভুমিদস্যু জামান গংদের লোভ দীর্ঘ দিনের। ইতিপূর্বেও তারা এই সম্পত্তি দখল করতে বিভিন্ন ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে জবর দখলের চেষ্টা করে। যার কারনে জামান গংদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে এবং মহামান্য আদালতে তিনটি মামলা রয়েছে যা বর্তমানে চলমান। যার মধ্যে রয়েছে জেলা যুগ্ন জজ, ১ম আদালতে দেওয়ানী মামলা নাম্বার-২৭৮/২০২২ চলমান. এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, পিটিশন মামলা নং ৩৫/২০২৩ চলমান রয়েছে এই মামলাটি এছাড়া মোকাম বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, পিটিশন মামলা নং ৪৩/২০২৩ যা চলমান রয়েছে। এ ব্যাপারে ভুমিদস্যু জামানগং আজ পর্যন্ত কোথাও বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই। তারপরও ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বলতে উল্লেখিত জমি তাদের যা সত্য নয়। এদিকে ভুমিদস্যূ জামান গং ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে জামির মালিক আক্তার হোসেনকে এই বলে হুমকী দেয় যে, বেশী বাড়াবাড়ি করলে তোকে ও তোর পরিবারকে খুন করে গুম করে ফেলবে যা আক্তার হোসেন তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। ভুমিদস্যু জামান গংদের অব্যাহত হুমকীতে ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন ভুক্তভোগী আক্তার হোসেন ও তার পরিবার। এ ব্যাপারে ভুমিদস্যু জামানের হাত থেকে তার জমি ও পরিবারকে রক্ষায় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী আক্তার হোসেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন